এই সমকামী ঠাকুররা কুন লেবেলের ধান্ধাবাজ তার উদাহরণ দেই , এইসব জায়েজ করতে এরা বিজ্ঞানমনস্ক লেকচার দেয় যে - তাদের এই সকল মহৎ মারা খাওয়া আত্মত্যাগের কারণ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ! এই জনসংখ্যা দুইদিন পরে এই ফেন্টাসি শেষ হইলে ইন্দুর টিকটিকি সাপখোপ থেইকা শুরু কৈরা তাদের বিজ্ঞানমনস্ক এলিয়েন পর্যন্ত জায়েজ করবে । এই জ্ঞানপাপিরা শুধু ওইটা না , তাদের বিজ্ঞানটা পর্যন্ত মারা দিয়া দিছে । কন্ডম তাইলে আবিস্কার করলি কেল্লেগা অভিশপ্ত বেজন্মার দল ?
এইবার আসি এইটা মানসিক ব্যাধি না অধিকার সেই বিষয়ে । আমাদের সবচে বড় দুর্ভাগ্য হইছে আমাদের কনফিডেন্স লেভেল অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর । কোথাকার কোন ছেলেরবেটি বিজ্ঞানমনস্ক অথবা ভিন্ন তথাকথিত উন্নত ইউরোপ এমেরিকার রামছাগল টুইন-টাওয়ার থেইকা বাণী দিলেই কোনরকম বিবেচনা না কৈরা নির্বিচারে সেইটা ফলো করা । এই ফলো করা রোগটা সমকামিতার চাইতেও নোংরা । নিজের বিচারবোধের উপর এইযে হিনমন্যতা তার কুফল অথবা গুফল হইছে এই সমকামিতারে সমর্থন দেওয়া । এবং তারচে হাস্যকর যুক্তি হইছে ''সমকামিতারে সমর্থন দেওয়া মানেই সমকামী নহে '' টাইপের উচ্চমার্গের চরম বিকারগ্রস্থ হাস্যকর যুক্তি উপস্থাপন করা । এবং না জাইনা মানুষ কেনো এই পবিত্র কামের বিরোধিতা করতেছে সেইটা জানতে এই লাইনের বিভিন্ন গুরুদের লেকচার গিলতে বলা ।
ইন্ডিয়ার সাথে খেলার সময় মাহমুদুল্লার ছয়টারে জুম কৈরা না দেইখা আউট দিয়া দেওয়ার নাম বিজ্ঞানের বাটপারি । আইসিসির সাইট থেইকা হক আইয়ে রুবেলের ৪র্থ বলটা সরায়ে রোহিত শর্মার কোমররে হাঁটুর তলায় প্রমাণ করার নাম বিজ্ঞানের বাটপারি । পরিক্ষায় এখন মানব কল্যানে বিজ্ঞান রচনা যেমন জরুরি মানব ধ্বংসে বিজ্ঞান রচনা লেখাটাও এখন সমান জরুরি । কাজেই মুক্তবেকুবমনার হাত থেইকা বাঁচার একমাত্র উপায় আল্লায় তরে যেই মাথাটা দিছে একটু ইউজ করতে শিখা , নিজের বোধটারে প্রায়োরিটি দেওয়ার হেডাম রাখা ।
আমরা জানি সমকাম শরীরে না , ব্যাপারটা মনে । এই মনের ব্যাপারটা কেম্নে আসে তা নিয়া যদি আমার সন্দেহ জাগে এর সমাধান কোন ডাক্তার দিবার পারবোনা , কারণ সে অভিজ্ঞ শরীর নিয়া মন নিয়া না । আর সাইকিয়াট্রিস্টরা নিজেরাই বড় সাইকো । যেইহেতু এইটা শারীরিক না মানসিক কাজেই শরীরতত্ত্বের কোন এক্সপার্টের এইখানে কিছুই বলার নাই , এবং শরীরের অস্তিত্ব আছে বিধায় রোগ প্রমাণ করা যত সহজ মনের অস্তিত্ব অদৃশ্য বিধায় তা প্রমাণ করা কঠিন । কাজেই আমি চারপাশ অব্জারভেশনে রাখুম।
আমার স্কুল লাইফে দুইটা এমন মানুষ ছিলো যারা শরীরের দিকদা ছেলে , কিন্তু হাবেভাবে মেয়েলি স্বভাবের । সাধারণত এইসমস্ত ছেলেরা মেয়েদের বান্ধবি হয় । অতীত ঘাঁটলে দেখা যায় , ছোটবেলায় বাড়ির মেয়েদের সাথে এগুলা হয়তো বেশি খেলতো , কিংবা একলাই ছেলে ছিলো বাকি সব বোন , তাদের সাথে খেলতো , বাইরে খেলতে যাইতোনা , একটু বড় হইলে স্কুলে কম্বাইন্ড ক্লাস পাইলে মেয়েদের সাথেই বেশি মনের মিল পাইতো বইলা তাদের সাথেই বসতো । সবসময় সব ফ্যামিলিতে এমন পরিস্থিতি থাক্তেই পারে কিন্তু দুএক জায়গায় এই জাতিয় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । তো দুই ফ্রেন্ডের কাহিনিতে যাই । আমাদের ছিলো বয়েজ স্কুল । যখন আমরা বড় হইতে শুরু করলাম এই দুইজনেই মেয়েলি ভাবে চলাফেরা করতো , শরীর দুলায়ে হাটতো । একটা ছিলো দেখতে ভালো আরেকটা ভালো না । দুইজন দুই সেকশনে ছিলো , তাই আমার সেকশনের পোলাপান অন্য সেকশনেরটা নাও চিনতে পারে । এবং অনুরোধ করছি আমার দু-একজন স্কুল ফ্রেন্ড যারা আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছে সেই দুইজনরে চিনে ফেললে তাদের পরিচয় গোপন রাখতে । তো ভয়ংকর ব্যাপার এই দুইজনের একজন যেইটা বেশি সুন্দর সেইটারে বেশ কিছু পোলা ইউজ করতো , ক্লাসের সবাই তার সাথে মেয়ে হিসাবেই ঠাট্টা করতো । এই কারণে সে মাইয়া না হইলেও ধীরে ধীরে তার সাথে তেমন ব্যবহারের ফলে সত্যিই একটা সময়ে মেয়ে হয়া গেলো । আরেকজন যার তার মতই মেয়েলি অভ্যাস ছিলো কিন্তু পোলারা এই ব্যাপারটা খুব একটা পাত্তা দেয়নাই , তার সাথে ছেলেদের মতই ব্যবহার করতো , সেই ছেলেও চেষ্টা করছিলো তার সেই সমস্যাটা বদলানোর সে কিন্তু উলটা ছেলে হয়া গেলো । এখনও খুব খেয়াল না করলে তার সমস্যা চোখে পড়বেনা ; কিন্তু এই ছেলের আগ্রহ এখন আর ছেলেদের উপর নাই , মেয়েদের উপর । কাজেই আমরা দেখলাম শুধু তাদের সমস্যাই না , তাদের সাথে আমাদের আচরণটাও একটা সমস্যা । দু পক্ষের আচরণ ঠিক থাকলে এই ব্যাপারটা থেইকা এক সময়ে মুক্ত হওয়া সম্ভব ।
এমন বহু ডাক্তার পাইবেন দুইদিন পরে বাজারের ন্যাচারাল আন্ডা ভালো না , চাইনিজ নকল আন্ডা বেশি পুস্টিকর ইত্যাদি নিয়া বক্তৃতা দিবে ; এরপর কোন একদিন বলবে ড্রেইনের পানিতে আছে ভিটামিন ''বাল'' সর্বরোগের মহৌষধ , আপ্নে চোখ বন্ধ কৈরা ড্রেইনের পানি খাইবেন আর সেইটারে সমর্থন দিবেন । এই যে ''আমি সমকামী না , সমকাম একটা অধিকার তাই সমকামরে সমর্থন দেই'' যদি আপনার সমর্থন এতই উন্নত হয় আপ্নে কেনো ক্যান্সার রোগরে সমর্থন করেননা ? কেনো ইবলা এইডসরে সমরথন দেন না ? কেনো রাস্তায় একটা পাগল ইট দিয়া মানুষরে দৌড়াইলে তারে পাগল বলেন ? মুখটা খারাপ করতে বাধ্য করেন , পিছন দিয়া করলে কোন শারীরিক উপকারটা আপনার সায়েন্স বলে ? এই সমস্ত কিছুর মূলে হইছে নোংরা মার্কেটিং । মানুষ যত সত্যই বলুক অপপ্রচার এমন এক জিনিস যা সত্যরে পর্যন্ত মিথ্যা বানায়ে দেয় । রোগরে সুস্থতা বানায় , সুস্থতারে রোগ । এবং এই রোগের সমর্থনের কারণে যদি গায়ে একটু আধুনিক তকমা লাগে , একটু ইউরোপ এমেরিকা ভ্রমণ হয় মন্দ কি ! একটা বিষয়ের উপর ভিত্তি কৈরা হাজার রকমের ব্যবসা ।
সমকামিতা এই দেশে হাস্যকর ব্যাপার , এর কোন প্রভাব-ই এইখানে নাই , সমর্থন অসমর্থনে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় আসলেই কিছু যায় আসে না । তবু এতগুলা বাক্যব্যায় একটা কারণেই যে যেই ইব্লিসেই এইটা শুরু করছে মহাকালে বিভিন্ন সময়ে সে-ই গাঁজাখোড়ের মত টেস্ট পায়া আরেকটা বেকুবরে কইছে খায়া দেখ টেস্ট আছে । ভাইরাস সংক্রমণের মত আজকের সমর্থন-ই কালকের সমকামী হয়া দাঁড়াবে । আজকে যে সমকামী গুরুর এর সপক্ষের লেকচার পড়বে কাল সে তার সমর্থক হয়া দাঁড়াবে । যা এমেরিকায় হইতে পারে সেইটা বাংলাদেশেও হইতে পারে । কোরআনে যে বলা আছে এই নোংরামির কাছেও যাইতে না তার উদ্দেশ্য এইটাই যে এইটা করাতো দূরে থাক এমনকি এর সপক্ষের কোন আলোচনার ধারেকাছেও যাইতেনা ।
এতক্ষন ধর্ম টানিনাই , লুত (আ) এর কওমের পরিণতির কথা কয়া ডর-ও দেখাইনাই , তবে অনেকেই বলছে ধর্মের দোহাই দিয়া এই বিজ্ঞানমনস্ক গুণের সমালোচনা করতেছে মানুষ । নিজের অভিজ্ঞতা বললাম । এইটা কোন অলৌকিক অভিজ্ঞতা না , প্রত্যেকটা স্কুল কলেজেই এই জিনিস অনতত একটা হইলেও আছে, এদের লাইফস্টাইল দেখেন । এইবার ধর্ম টানি । যদিও সমাজে একধরণের লজিক তৈরি করতেছে মুক্তছাগুমনারা সবকিছুতে ধর্ম টানতে না , এহন আমার আল্লায় যদি সব বানায়ে থাকে , আল্টিমেটলি সব কিছুতে ধর্ম আসবেই ; প্রকৃতিরে তিনি যেই নিয়ম দিছেন তার নাম ধর্ম ; মুক্তছাগুমনারা এর নাম বদলায়া বিজ্ঞান রাখছে এইযা । তোমার জিনিসপত্রের উপর তোমার হুকুম থাকবেই । ইস্লামে বলা আছে যার শরীর পুরুষের মত মন যেই ঘোড়ার ডিম-ই থাকুক , তার জন্য পুরুষের বিধান , যে নারী মন যে চাইনিজ ডিম-ই থাকুক তার জন্য নারির বিধান । অর্থাৎ কেউ কেউরে যদি এমন মনে হয় সে শরীরে পুরুষ হইলে তার মন বিপরীত থাকলেও সে মনের বিপরীতে ছেলেদের সাথে মিশবে তাদের মত আচরণ করবে এবং ছেলেরাও তার মত আচরণ করলে এই সমস্যা ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে । আর জনসংখ্যা ১টা হাস্যকর ভ্রান্তিমাত্র । যে সমস্ত মহাবিশ্ব বানায়ে থুইছে তারে আঙ্গুল তুইলা বলা তুমি হান্ড্রেড বিলিয়ন স্টারের এই মিল্কিওয়ের চিপায় এক গ্রহের ৭০ ভাগ এহনো ইউজি হয়নাই তার ৩০ ভাগের উপ্রে থাকা সাড়ে সাতশো কোটি মানুষরে পালতে পারোনা ।
আপ্নেদের গুরু আইনস্টাইনের ভবিষ্যৎবাণী আছে - 'I know not with what weapons World War III will be fought, but World War IV will be fought with sticks and stones.'
ইস্লামে আছে কেয়ামতের সময়টায়েও মানুষ ঢাল তলোয়ার নিয়া যুদ্ধ করবে । ট্যাংক , মেশিনগান , নিউক্লিয়ার মিসাইল দিয়া না ।
যেই লাউ হেউ কদু , তবে খুব সতর্ক থাকা ; মানুষ সঠিক বলছে দেইখা ইসলাম সঠিক না ; ইস্লাম যেইটার ঠিক কইছে সেইটারে মানুষ সঠিক বললে সঠিক , না বললে বেঠিক । বিজ্ঞানমনস্করা সমকামিতা করতে করতে একটাইমে এত সমকামিতার বিজ্ঞানরেই বিলুপ্ত কৈরা দিবেন , তারপর সেই পুরান প্রাকৃতিক আদিম রণক্ষেত্র । প্রকৃতিরে অপব্যবহারের শোধ প্রকৃতি তোমারে ফের গুহাবাসি বানাইয়া নেবে ! খ্যা খ্যা খ্যা !
No comments:
Post a Comment