পরিক্ষা এবং রেজাল্ট নিয়া অনেকেই বাচ্চাদের কটাক্ষ কৈরা লেখতেছেন , তাদের এ+ গোল্ডেন নিয়া হাসাহাসি করতেছেন । চালায়ে যান ।
যখন এই পরিক্ষা গেছে একদল চুতিয়া উন্মাদ প্রশ্ন ফাঁস করছে আর আরেকদল চ্যুতিয়া উন্মাদ প্রশ্নফাঁসের বিপক্ষে না লইড়া মানুষ পুড়াইয়া উল্লাস কৈরা হরতাল করছে । পোলাপানের লাইফের ১০ টা বছর শেষ করছে । এগুলারে লাইফটা যেইভাবে দেখাইছে গুরুরা তারা সেইভাবেই লাইফটা দেখছে ; ৭০ টা সাব্জেক্টের উদ্ভট সৃজনশিলতার চাপে , অমুকের পুত্র তমুকের নাম্বার এত আর তুমি ? এই জাতীয় ঠাডায় পইড়া লাইফটারে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ-ই পায়নাই । এগুলার দোষ দিয়া কি লাভ ? অসুস্থ সমাজ অসুস্থ সিস্টেম শিখাইছে সফলতার সর্বপ্রথম শর্ত নীতিরে কবর দিতে হবে ; আম্রা যেইদিকে সফলতা দেখাই সেদিক ছাড়া অন্যদিকে গেলে জীবন ব্যর্থ । আর সৃজনশীলতা মামাবাড়ির আবদার না , মুড়ির মোয়া না যে সবাইর ভিত্রে থেইকা সব সাব্জেক্টেই বাইরায় । মানুষের এই ক্ষমতা আছে কিন্তু সবাই সেইটা ব্যবহার করতে পারেনা । নাইলে গত কয়েকবছরে দেশ থেইকা কয়েক লাখ আইনস্টাইন বাইর হইতো । একটা নির্দিষ্ট সাব্জেক্ট যেইটাতে স্টুডেন্ট এক্সপার্ট শুধু সেই বিষয়ে ট্রাই লইয়া দেখতে পার্তো ।
একটা দেশের মায়রে বাপ করতে হইলে জাস্ট শিক্ষাটা ধ্বংস করলেই যথেষ্ট । সেইটা মাদ্রাসা হউক আর আপনাগো হালের বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা ।
এইটা খুবি ভালো পদ্ধতি । কারণ অফিস আদালতে অনেকেই দুর্নীতি করতে ভাইলেও কিছু কিছু নীতিচোদ ফ্যাকড়া বাধায় । একদম গোঁড়া থেইকা স্তরে স্তরে চোর-চামুণ্ডা বানাইলে চুরিটা স্বচ্ছ নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিকমানের হয় ।আজকের ছিঁচকা চোর আগামীর নেতা ।
ফাইনাল পরিক্ষাগুলি অনেকটা পোলাপানের জন্য ফাঁসির আসামির মত , সত্যি বললে স্বর্গ , মিথ্যা বললে দুনিয়া । পোলাপান এত তাড়াতাড়ি স্বর্গে যাইতে চায়না , কাজেই তাদের ভেতরের যে দুর্বল নীতি আছে সেইটা টুটকা ফাটকা পরিক্ষা দিয়া ভাঙ্গা যাবেনা । এরকম ফাইনাল পরিক্ষা ধরতে হবে , যাতে পোলাপান জান বাঁচাইতে নীতি বিসর্জন দেয় । অবশেষে এভাবেই তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলা হয় চেতনাহিন রোবটের মত যাতে আরামসে কন্ট্রোল করা যায় ।
No comments:
Post a Comment