মুস্তাফিজের উত্থান বেশ ভালো মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে । সাতক্ষিরায় ছিমছাম একতলা বাড়ি , ভাই গ্রামীণফোনে চাকরি করে যে তারে মোটরসাইকেল দিয়া খেলতে নিয়া যাইতো , চাচা এমেরিকায় , বাপের মাছের ঘের আছে ; এছাড়াও সবগুলা বড় ভাইয়েরি আছে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা । কথাগুলি বললাম কারণ বাংলাদেশের মিডিয়াগুলার একটা বাজে প্রবণতা হইছে প্রত্যেকরেই নিঃস্ব অবস্থা থেইকা উইঠা আসছে দেখানির প্রবণতা । আরেকদল আছে চেহারা বিশারদ ; কালা হইলে টোকাই আর সাদা হইলে সাহেবের জাত ।
মজার ব্যাপার ফ্যামিলির সাপোর্ট ছাড়া কেউ উইঠা আসেনা । ক্রিকেটারদের বেশিরভাগরে জিগাইলেই দেখবেন সবাইর আগে বলবে ফ্যামিলি সাপোর্টের কথা । আর দশটা ফ্যামিলি যখন পিটায়া পোলারে দুই পয়সার স্যালারির জন্য ২৫ বছর পড়াইছে , তার কোন শখের দাম দেয়নাই সেইখানে ক্রিকেটারদের ফ্যামিলি দিছে স্বাধীনতা, সাহায্য । ৯০% এর একি কাহিনি ; সবাই রফিক আশরাফুল না, তাঁদের অবস্থা থেইকা উইঠা আসার সম্ভাবনা খুব কম ।
যাই হউক ভিন্ন প্রসঙ্গের কথা বলি । সাকিব মাগুরায় হেলিকপ্টার দিয়া যাইতো তখন অনেকেই সাকিবরে বলছে অহংকারি , হ্যাডাম দেখায় হেন তেন ; এলাকায়তো গাড়িতে কইরাও আওয়া যায়, লোকদেখানি । আজকে দেখলাম মুস্তাফিজের এলাকাবাসির সাক্ষাৎকার । এক ছেলে বলতেছে - আমাদের মুস্তাফিজ একদিন বিশ্বকাপ খেলবে , একদিন হেলিকপ্টার দিয়া সাতক্ষীরায় আসবে ''
কি মনে হয় কথাগুলি ? রুপকথার রাজপুত্র যেমন ঘোড়ায় চইরা আসে ওই কন্সেপ্টেই এইসব সরল সোজা মানুষ মনে করে তাঁদের সবচে প্রিয় মানুষটা , গর্বের মানুষটা হেলিকপ্টারে চইরা আসুক । এইডা তাঁদের একটা শখ । গতবছর এক ইউটিউব ভিডিওতে দেখছিলাম এক বৃদ্ধা ফকিররে জিগাইছে তার শখের কথা । সে কইছে ভালো গাড়িতে চইড়া গুলশান ১ থেইকা গুলশান ২ এ যাইবো । এইটাই তার একটা শখ । শখের তোলা আশি টাকা ।
No comments:
Post a Comment