Wednesday, December 10, 2014

ধোঁকা

আসেন আমরা আরেকটা সস্তা মার্কেটিং ধোঁকাবাজি দেখি । ডিস্কভারি ২ মাস যাবত চেচাইতাছে আমরা এনাকন্ডার লাইভ মানুষ খাওয়া দেখামু । দেশ-বিদেশে পত্র-পত্রিকায় তোলপাড় । একদল পক্ষে হহ খাউক , আমরা মজা লই(আমি এই দলে) , আরেকদল পরিবেশবাদি নানা পশুর প্রতি নির্মম অমানবতা । পল রোজালি (যেই মান্দার পুতের এনাকন্ডার পেটে যাওয়ার শখ জাগছে) বল্ল ৫ বছর যাবত এনাকন্ডা লয়া পড়াশুনা করছি , এ এনাকন্ডার প্রতি অমানবতা নহে বরং আমাজন জঙ্গল সম্পর্কে সতর্কতামূলক দৃষ্টান্ত , আর এর টেকাটুকা আমি পশুরক্ষায় দান করিয়া দুই জাহানের অশেষ নেকি হাসিল করিবো । তারপর এই একমাসে ফাঁকে দিয়া ডিস্কভারি জাতে উঠল ।

এইবার আসেন মূল এপিসোডে । রোজালি শুয়ারের রক্ত মাখা স্নেক স্যুট পইড়া এনাকন্ডার সামনে যাইয়া কইলো ,'' ব্রাদার আমারে খাউ !'' এনাকন্ডা বান্দির পুত রোজালিরে দেইখাই ফার্স্টে যাইতেগা চাইছে । কই একটা জিনিসরে চিপ্পা রস বাইর কইরা খাওয়া আর কই চিপার আগেই বাইরায় রইছে । এই ব্যাপারে রজালির বক্তব্য -সে প্রথমে ভীত ছিল । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম , টেকনিক চেইঞ্জ করতে হবে , সাপের মন ভোলানো সহজ ব্যাপার নয় ।সবাই বাজাইলো সাপের বীণ , রোজালি তখন কোমর দুলায়ে নাচা শুরু করল - ।
বীণ তেরে সানম ইস জাহান ম্যায়
বেকারার হাম টাম ড্ডাডাম ডাডাম
ও জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি
ও জারা জারা কিস মি কিস মি কিস মি কিস মি
সাপ আর যায় কই ! লালসার আগুনে আজম খান স্টাইলে গান গাইতে গাইতে কাছে আইলো -
ওরে সালেকা ওরে মালেকা।
ও রে ফুলবানু পারলি না ঠেকাতে
কিন্তু , ক্যামেরার কাজ ছিল অত্যন্ত ফালতু , প্রথমত দেখলে আপনি পুরা শিউর হইতে পারবেননা সাপে ক্যাটরিনা থুক্কু রোজালিরে খাইছে না পুতলা খাইছে । যদি সত্যি-ই অইডা হাফ্লেডিস রোজালি হয় , সেই সময় সাপে ওরে ধইরা কপালে সামান্য একটা চুমা দিয়া শুরু করছে , তাতেই বলে অর হাড্ডি গুড্ডি ভাইঙ্গা যাইতাছিলো , শরীর অবশ হয়া যাইতাছিলো । শিহরণ হওয়াই স্বাভাবিক , এরপরে কি মনে করলো কে জানে , সেই ঐতিহাসিক চীৎকার শুরু করলো , ছেড়ে দে শয়তান , টাকা দিয়ে প্রেম কিনা যায়না , তুই আমার দেহ পেলেও মন পাবিনা । সবাই দৌড়ায় যায়া সাপের কবল থেইকা রোজালিরে উদ্ধার করলো ।
সাপ হালায় তোো পুরা আবুল ! কাঁদতে কাঁদতে সে ভাবলো , তুই আমারে লোভ দেখাইলি , নাচলি-গাইলি আর এহন তু-ই আম্রে সবাইর সামনে ভিলেন বানাইলি ! প্রেম স্বর্গ থেকে এসে প্রতারণায় অমর হয়ে রয় !
মোদ্দা কথা ১ মাস আগে বলা হইছে ওরে সাপে হজম করবো । কিন্তু খোমায় চুমা দিতেই ওয় চিল্লান শুরু করছে , ক্যা তুই বলে স্নেক প্রুফ স্যুট বানাইছো তা তর হাড্ডি ভাঙ্গে ক্যা ? তুই বলে পাঁচ বছর এনাকন্ডা লয়া পিনিক করছো ?
লিংক - 
 
https://www.youtube.com/watch?v=aHfaz7z2z-U

Tuesday, December 2, 2014

Good Will Hunting

will hunting- were you gonna plagiarize the whole thing for us ?do,you have any thoughts of your own on this matter ? or do you ... is that your thing ? you come into a bar , you read some obscure passage and pretend.. you, you pawn it off as your own idea just to impress some girls? Embarrass my friend ?
see the sad thing about a guy like you is , in 50 years you're gonna start doin' some thingkin' on your own . and you're gonna come up with the fact that there are two certainties in life .
1- don't do that
and 2 - you dropped 150 grand on a fuckin' education you could've got for $1.50 in late charges at the public library ..
Clark -yeah , but I will have a degree and you'll be my kids fries at a drive through on our way to a skiing trip ...
will hunting- yeah, maybe . Yeah , but at least I won't be unoriginal .....

পরাবাস্তবতা

আমি স্বপ্নবাজ মানুষ । সাইফাইয়ের উপরের তলার মানুষ , ফ্যান্টাসির মানুষ । আমি বিশ্বাস করি স্পেসশিপ দিয়া গ্যালাক্সিময় ঘুইরা বেড়ানি ঠিক যতটা কঠিন এবং অপব্যায় সাপেক্ষ এবং অযৌক্তিক , আলাদিনের ছালায় কৈরা মাল্টিভার্সে যাইয়া নিজের অন্য দেহধারীরে চর দিয়া '' 'দেজা ভু' করবি তুই আমি করুম ক্যা '' বইলা শাসায় আসা ঠিক তেমনি সহজ , ব্যায়হিন এবং যৌক্তিক । এই স্বপ্ন সফল করতে যা দরকার তা হচ্ছে একটুখানি ঘুম ।
আসছে শীতকাল । স্বপ্নবাজদের উৎকৃষ্ট সময় । গ্রমকালে গরমের দুঃখে ঘুমায় যাই , শিতকালে আরামের চোটে ঘুমায় যাই । স্বপ্ন সফল করার জন্য মানুষ সব দুঃখ কষ্ট , শীত গ্রীষ্ম , বরফ ঠাডা সব সইতে পারে । সবাই যখন মাথার ঘাম পায়ে ফালায় স্বপ্ন দেখতেছে আমি তখন জেগে থাকতে পারিনে ।
ইন্সেপশনে একটা রুম থাকে যেখানে ১০-১২ জন সমানে ঘুমায় । তো একজন প্রশ্ন করে , এরা কি এখানে প্রতিদিন ঘুমাইতে আসে ? রুমের মালিকের জওয়াব - না তারা এখানে আসে জাগতে । তারা জানেনা কোনটা তাদের রিয়েলিটি , আপনে কি জানেন ? !
টিকা -
১ মাল্টিভার্স - গুগল করো বাবু
২ দেজা ভু - এইটাও গুগল করো বাবু , তবু কইতেছি নিজেরে চর দেয়ার আইডিয়ার জন্য । ''দেজা ভু'' এমন কোন কিছু দেখা যেটা দেখার পর মনে হবে আগে আপনি এইটা কোথাও দেখছেন , একি জগত একি সময় কিন্তু এই জীবনে না , ভিন্ন কোন জীবনে । মাল্টিভার্স এখনো ফ্যান্টাসির পর্যায়ে আছে । ধরা যাক , অন্য কোন হাজার বিশ্বের হাজার আমির মাঝে কিছু শিশু আমি এখনো স্কুলে পড়ি আবার কিছু ভবিষ্যতের মধ্যবয়স্ক আমি আমি হয়তো পড়াশুনা গোল্লায় তুইলা গ্রামে ক্ষেত খামার করি , সাপখোপ পালি , গলায় নিয়া ঘুরি । এই জগতের যুবক এরশাদ আমি খেতখামার করিনা , চাপাবাজি করি , কিন্তু কোন এক ধানক্ষেতের চিপা দিয়া হুদাই হুতাশে হাঁটার সময় দুই মুখখা সাপ দেখলাম , যেইটা দেইখাই আমার মনে হইলো এমন দৃশ্য আগে কোথাও দেখছি । আমার মনে হয় মাল্টিভারসে শরীর যেহেতু এক হওয়ার কথা মন-ও এক হবার কথা । যদি তা-ই হয় ভবিষ্যতের আমি অন্য জগতে যা দেখছি মন সেইটা এই জগতে মনে করছে অর্থাৎ ভবিষ্যৎ এই জগতে আইসা অতীত হয়া গেছেগা । এখন সাপ মাইরা যেই পরিমাণ মেজাজ খ্রাপ হইছে তারচে বেশি মেজাজ খ্রাপ হইছে কিছুতেই মনে করতে না পারায় যে কোই দেখছি । কাজেই মাল্টিভার্সে যাইয়া নিজের অন্য দেহধারীরে থাবড়া দিয়া শাসায় দেয়া যে সাপ খোপ পালছ হালায় কোন বেদের মেয়ে জোছনারতে এই যৌতুক লইলি !

বিপ্লবী বলদ

কিছু অশ্লীল কথা এখন কমু ।
ভারতে চুমু খাইতে বিরক্ত করার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে হাজার হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র তিরে চুমু খাইছে , এখনো যে যারে যেই যায়গায় পাইতাছে সেইখানে বন্দে মাতরম করতেছে । দেশি ভাদারাও এই উল্লাসে হুক্কাহুয়া করতেছে । ভারত নাম শুনলেই গর্বে এদের অরগ্যাজম হইয়া যায় ।
কিছুদিন আগে কোই জানি দেখছিলাম নারি অবমাননার প্রতিবাদে এক দেশে ড্রেস খুইলা আন্দোলনে নামছে ।
সমাজে যে যা খুশি করুক এইটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার কারর ক্ষতি না হইলেই হইলো । এই হিসেবে বিজেপির পাণ্ডারা অবশ্যই অপরাধ করছে তাদের বিরক্ত কৈরা । কারণ ভাদ্র মাসের কুত্তা কারর ক্ষতি করেনা , তারা প্রকাশ্যে যা খুশি করে । এলাকার বজ্জাত পিচ্চিরা লাঠি দিয়া বাড়ি দেয় , ঢিল দেয় । পিচ্চিরা যেমন বোঝেনা হঠাত গিট্টু লাগলো ক্যা কুত্তায়ো বোঝেনা অরে পিডায় ক্যা । মুরুব্বিরা আইসা পিচ্চিরে সরাইয়া দেয় কুত্তারে না । কারণ কুত্তা বোঝে না । আমি মনে করি এদের পিডান তো দূরে থাক কিসছু বলার দরকার নাই , প্রেম ওমর , প্রেম পবিত্র , মার সামনে করবা , বাপের সামনে করবা , এলাকার মুরুব্বির সামনে করবা , প্রেম করতে প্রয়োজনে কুত্তা হইলেও সমস্যা নাই । এইখানেই যা বুঝানোর বুঝায় দিলাম । এইটা কমনসেন্স , এইটা বুঝতে মসলমান হিন্দু মৌলবাদি অথবা নাস্তিক মৌলবাদী হওয়া লাগেনা ।
এইসব পোলাপানের মধ্যে ১০০ % পরিস্কার ১০০ % অবিবাহিত । তারা এত পবিত্র প্রেম প্রেম করে তাইনা ? এতই যদি পবিত্র হইতো নিজেদের বিয়ার আগে কোনরুপ শারিরিক ব্যাপারে জড়াইতো না , কেউ মনে করে এইডাতো কিছুই না রেগুলার হলিউডে দেখতেছি , তাইলে এইটাও জানেন এইটাই হইলো প্রথম ধাপ , এইটায় গেলে যেকন যুযুগে মাইনসে বাকিটাতেও যাইবো । এখন এদের এই পবিত্রমারাইন্যা পীরিত ৫/৬ মাস পরে ভাইঙ্গা গেলো । তারপর তারা নতুন কারর সাথে পবিত্রতা শুরু করলো । মানে বাংলায় যারে কয় খায়া ছাইড়া দেওয়া , এর নাম দিছে তারা পবিত্র পীরিত । এইসব বাদে পিরিতটা সত্যিকার অর্থাৎ বিবাহিতরাও তো স্বাভাবিক পারসোনালিটির কারনে প্রকাশ্যে এইসব করাটা ঠিক না । সব কিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় , জায়গা আছে ।
এখন তারা যুক্তি আনে দুনিয়াতে শত আকাম করলে সমস্যা হয়না , এ তারে মারতেছে ও তারে ধমকাইতাছে ; মজনু করলে লিলা আর আমি করলে বিলা ? মজনুর লিলা আর তোমার বিলা দুইটাই পরিত্যাজ্য ।
এইসব ভাদ্র মাসের কুত্তা আসে সভ্যতা শিখাইতে ।

No-Shave November

No-Shave November ব্যাপারটা কয়েকদিন যাবত বাইরের পত্রিকা আর পেইজে দেখতেছি । কিছু উতসব ধার করা অভিজাত বাঙালি হোলাউইন শেষ এখন এইটা লইয়া মাতছে । মুরুক্ষ মানুষ , ব্যাপারটা কি বুঝতে ওদের সাইটে গেলাম । লেখা -
No-Shave November is a unique way to raise cancer awareness.What better way to grow awareness than with some hair?
অর্থাৎ বোঝা গেলো একটা নির্দিষ্ট দিন বা সময়ে বিলাপ করা , ওই যে শালা দিবস , শাশুড়ি দিবস , বিলাই দিবস , ভাল্লুইক দিবস এই টাইপ আরকি ! দিবসকেন্দ্রিক সভ্যতা ।
আহাম্মকি আর কারে কয় , ক্যান্সারে চুল দাড়ি সাফা কিরকিরা , এরা আইছে চুল দাড়ি না কামাইয়া সেই পয়সা ডোনেট করতে । যার চুল নাই সেই ক্যান্সার রোগীর সামনে কতক্ষণ ঝাকানাকা ঝাকানাকা দেহ দোলানা দিলে অথবা সেই রোগী এইটা জানলে খুব মজা পাইবো । চুল দাড়ি কাইট্টা করলে একটা কথা ছিলো । ডোনেট করতে চাইলে এইসব ভুগিচুগি লাগেনা , ডোনেশনের কোন নির্দিষ্ট সময় , দিবস নাই । এইসাব দিবস হইছে রাইস বাকেটের মত দাড়ি বাকেট চ্যালেঞ্জ , একদফা এক মগ চাইল দিয়া ফকিন্নির ছবি তুইলা সবাইর সামনে তারে ফকিন্নি প্রমাণ কৈরা খালাস হওয়ার একটা পদ্ধতি , এতে চামে ফেমটাও আহে খরচাও নাই ।
যাগর মনে ক্যান্সার এরা আইছে মাইনসের ক্যান্সার দূর করতেভ , মানুষ-ই মাইরা ছাফ করতেছে ক্যান্সার হইবো কইত্তে ? মুসলমান দাড়ি রাখলে সমানে বিলাপ করে জংলী টেররিস্ট মধ্যযুগীয় বর্বর হেন তেন । এরা নিজেরা রাখলে সুপার ক্রিয়েটিভ , কবি , সাহিত্যিক , বুদ্ধিজীবী , সমাজ সংস্কারক ।
তর মায়রে বাপ , কালকা কানি আঙ্গুল দিবস । নভেম্বর মাসে হাঁটার সময় সবাই কানি আঙ্গুল বাদে বাকি আঙ্গুল বন্ধ রাখবি ।
কন্সেপ্ট - কানি আঙ্গুল November is a unique way to raise ধ্বজভংগ awareness....

Monday, December 1, 2014

নেশা

বহুকাল আগের কথা , একটা সময় ছিলো যখন টেক্সট বুক ছাড়া অন্য কোন বই ছুঁইয়াও দেখতাম না । আমি গপ্পের বই পড়ছি সবার মত ছোটকালে না বড়কালে । একদিন এক অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয় এবং রোবট সমাজের কাছে মহামূল্যবান পরিক্ষা না দিয়া এক দারোগার বিল্ডিংয়ের ছাদে নিশা ভাং কইরা বাসার চিলেকোঠায় আইসা ধ্যানে বইছি । মেজাজ চরম খারাপ কারণ কোন নেশাই আমারে ধরে না । কাজেই নেশা করতে চাইলেও লাভ নাই , কোন ফ্লিংস নাই । অবশ্য নেশার জগতে একটা কথা আছে , টাল হইতে চাইলে হওয়া যায় , ব্যাপারটা সম্পূর্ণই মানসিক । আমার দ্বিমত আছে , তাইলে আর নেশা করারি দরকার কি , হুতাশে বাতাস খাইয়াই তো বেতাল হইয়া কার্টুনের মত ঘোরা যায় , বোতলের দরকার কি !
ধ্যান ভাংল । চোখ খুইলা দেখলাম ঘরের চিপায় শ খানেক ধুলাপড়া আজাইরা বই । এই এক ফালতু অনর্থক জিনিস , নিশ্চ্য় টেক্সট বুকের মত ফাও প্যাচাল আছে , রোবট হওয়ার ১০১ টি উপায় । এগুলারে কুচি কুচি কইরা ছিড়ড়া উড়াইয়া দেওয়া যাক । অথবা শিক্ষাই আলো সেই হিসাবে আগুনে পুড়াইয়া ছারখার কইরা দেয়া যাক । শেষে থাকুক কয়লা , শিক্ষাই অন্ধকার । ভাব্লাম ঘটনা কি আগে দুই-চাইর লাইন পড়ি ।
বইটা ছিলো ''হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম '' লেখক হুমায়ুন আহমেদ । এমন কোন আহামরি বই না । হিমু আমার প্রিয় চরিত্রও না নিছক বিনোদন ছাড়া , হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রগুলির মধ্যে আমার পছন্দ মিসির আলি । হিমুর মত নিজে রহস্য করতে আর রহস্য রাখতে ভাল্লাগেনা বরং মিসির আলির মত অন্যের বা অন্য রহস্যে ছুটতে সেইটারে কাটাছিড়া কইরা যৌক্তিক করতে ভাল্লাগে । কিন্তু বইটার কথা বললাম কারণ বইটা আমার শুরু ছিলো । গল্পের বইয়ের শুরু । এরপর সময় পাইলে পড়ছি এমন না সময় কইরা নিছি ।
নেশার খোঁজ আমি পাইছি । অনেকে আছে গাইতে ভালোবাসে অনেকে আবার শুনতে , অনেকে দেখতে অনেকে করতে , অনেকে লেখতে আর আমি পড়তে । শুরুটা একজন কৈরা দিছিলো , সেদিন যদি অন্য কোন ফালতু বই হাতে পড়ত হয়ত এত সুন্দর সময়গুলি পাইতাম না । আজকে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন । হুমায়ূন আহমেদ নামটা যেখানেই উঠে মনে হয় আমি সেই দুর্ভাগাদের একজন যে হুমায়ূন আহমেদেরে দেইখা বড় হইছে এবং একদিন ম্রিত্যুসংবাদ পাইছে । এবং যার বই এক ভিন্ন জগতের সন্ধান দিছে ।
সান্তনা এইটাই মহান লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর মহান কুপাঠক আমার জন্মদিনরাত্রি একি মাসে 

জুকারের বিবাহ এবং আবহমান বাংলার কলহ

জুকারবারগের বিয়ার ফটোতে বাঙালি হামলা করছে ( ওর বউ চাইনিজ) , আসেন কমেন্টেই সমস্যা দেখি যে বাঙালি কি করছে এবং এর সমাধানও কমেন্টেই দেখি - এখানে সবগুলাই মানুষের কমেন্ট ।।
১ সমস্যা -
made in China বেশি দিন যায় না
Translate: great couple ! congrats bro ... proud of you .. 
তোমারে পাইলে যে আমি কিতা করাম। একটা আইডি হ্যাক হইছে এক বছর হইলো এখনও ফিরাইতে পারি নাই। এত গুলা রিপোর্ট করলাম, তুই আইডিটা বন্ধ করলিনা। তুই ফইন্নির পুতেরে আমি পুতা দিয়া বাইড়াম খাড়া
Translate:- Thank you brother Zucker,only for you all over the people are using facebook,which has been made our life so easy and fast,,, wish you best of luck,GOD Bless you!!!
মাগার ইন্ডিয়াতে বেড়াইতে আইছিলে কিন্তু আমাদের এই রূপসী বাংলায় আসলি না....
শালা আবুলের বাইচ্চা...
Translate:
Zucker at first take my love,realy you are a great person in the world..To be a Bangladeshi, I invite you to visit our beautiful bangladesh.
হালার পুত ফেবুতে ব্লক অপসন দিছস ক্যারে!!! তাড়াতাড়ি ব্লক অপসন উডায়ে নে,,,,,,,নাইলে তোর বৌরে উডায়ে লিয়ে তোরেই ব্লক মারুম,,, হুহ্ Translation : We r a big fans of yours. Wish u a happy married life.
তুই রং দেখছত মাগার রং এর ডিব্বা দেখস নাই । তুই আমার id nosto করস । তোর এত boro সাহচ । Translation- Facebook is the best social network ….You and your wife looking so nice, cute
২ সমাধানে আলগা মাতবর , (এই জিনিসের অভাব নাই) - Dear Mark, i am extremly sorry for those missbehave of some rude Bangladeshi people.... Here, Bangladesh, we have reprimanded that rude people who wrote unusual comment in your wedding photo Again sorry on behalf of bangladesh,...
৩ আঁতেল খাটাশ ফেমিনিস্ট (বাঙালি পুরুষরা যে অধঃপতনে গেছে চোখে না দেখলেও কমেন্টে পরিস্কার হইলাম) - "dear Mark Zuckerberg, i am truly sorry on behalf of my country's men,they are born in a place where they are not taken proper care by their parents.they lose their way really easily, they seek love in the arms of hookers, get STD before they turn 20, get addicted before they turn 25, abuse their women, girlfriends and wives physically, mentally and sexually but they carry the heart which can love anything on this planet ... truly sorry .... stay happy forever
(ওয়েল , আমাগের ত তাও বাপ মা আছে , জোকাবারগদের সেই হিসাবও নাই )
৪ চামবাজ  - SomE pEople of Indian Use bad Comment in # Mark_Zuckerberg facebook id... and they use bangla... plz Don't belive them.... the people of Bangladesh really awesome and they like Mark Zuckerberg
৫ যা আমার কাছে সমাধান - গুগল ট্রান্সলেটরের এখনো অত ক্ষমতা হয়নাই যে আমাগো লেখা অনুবাদ করবে। যা অনুবাদ করবে তার ভাবানুবাদ করার জন্য আরেক ট্রান্সলেটর লাগবে। চুশীলের বাচ্চা গুলাই রাজাকারি কইরা দেশের নাম ডুবাচ্ছে । যেগুলা গালাগালি করতেছে জুকারের ওয়ালে হেগুলা হইসে বলদ। আর যেগুলা ইংলিশে বইলা দেয় যে বাংলাদেশিরা তারে গালাগালি করে হেগুলা আরো বেশি বলদ।

মুক্ত-নুনু-ভূতি

কিছুদিন আগে দেখলাম এক মুসলিম আর নাছারা একে অপররে হেল্প করছে । মানবতাবতাবাদিরা হই হই কৈরা উঠল জয় মানুষের জয় , জয় মানবতা ।
আসলে কি ঘটছে ?
মুসলিম তার আদর্শের জায়গা থেকে করছে , নাছারাও তার আদর্শের জায়গা থেকেই করছে । চামে দিয়া মুক্তমনুরা কয় জয় মুক্তমনুর জয় । আচ্ছা ধরা যাক সেইখানে একজন মানবতাবাদিও ছিল এবং এইবার যৌক্তিক কারণেই সে মুক্তমনুর জয়গান গাইলো ।
ডাক্তার যেমন ডাক্তাররে সমর্থন দিলো , কৃষক যেমন কৃষকরে সমর্থন দিলো , শিক্ষক শিক্ষকরে সমর্থন দিলো , মুসলিম যেমন মুসলিমরে সমর্থন দিল , নাছারা যেমন নাছারারে সমর্থন দিলো , নারীবাদী নারবাদিরে দিলো , তেমনি মানবতাবাদিও নিজেদের দিলো । এবং এদের মধ্যে এক্সট্রিমিস্ট থাকবেই । কোন যায়গায় ধর্মবাদিদের ক্ষমতা বেশি আবার কোন যায়গায় মানবতাবাদিদের । সবাই কোন না কোন যায়গায় সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘু । যার ক্ষমতা বেশি চোখের সামনে গলা কাটে আর যার ক্ষমতা কম মনে মনে গলা কাটে ।
কাজেই তোমারটা মানবতাবাদ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই আর আমারটা মধযুগিয় বর্বরতার ধর্ম বলার অবকাশ নাই ভায়া । দুইটাই ধর্ম । একটা ইসলাম , একটা হিন্দু ধর্ম , তেমনি এইটা মানবতাধর্ম ।

এবং দুই দলেরি অনুভূতি আছে ... 

ধর্মের বিপক্ষে বিলাপ করলে যে আঘাত লাগে তার নাম ধর্মানুভূতি
আর ধর্মের পক্ষে বিলাপ করলে যে আঘাত লাগে তার নাম মুক্ত-নুনু-ভূতি
মুক্তনুনু একটি বিবর্তিত শব্দ । 
যেমন -বিবর্তনবাদ অনুযায়ী আমরা জানি ,
বালঅলা বান্দর >বনমানুষ>আবাল মানুষ
মুক্তমনা > মুক্তমনু > মুক্তনুনু

এবং আরও একটি জন্মদিন

ছোটবেলায় পবিত্র আদর্শ লিপি ছুঁইয়া প্রতিজ্ঞা করছিলাম বড় হইলে মতিঝিলে চান্দাবাজি কৈরা বেড়ামু , আর্জেন্টিনার সাপোর্টারগো কানে ধরাইয়া মিরপুর এলাকায় ব্যাং রেস দেওয়ামু (অই যে হাটুর তলা দিয়া হাত আইনা কান ধরা আরকি) , ১ নাম্বার মাজারে গাঞ্জা ফাটামু , রেড ওয়াইনের সুইমিংপুলে স্কারলেট জোহানসনরে বন্দে মাতরম ... এরপরে শবে বরাতে পোলাপান আর কি ফুটায় হালার চকলেট,তারাবাত্তি,তারকাটার সমান 'লাদেন বোম' ছাড়া , রকেট লাঞ্চারের লগে লুঙ্গি বাইন্ধা নিজেই নিজেরে ফুটাইয়া দিমু ।

কিন্তু হায় ... সুনীল দাদু বলেছেন
তেত্রিশ বছর কেটে গেল , কেউ কথা রাখেনি ।
আর আমি ?
বাষট্টি পার কৈরা লাইলাম , নিজেই নিজের কথা রাখিনাই ।

এখনো সেই আগেরর মত বিছনায় শুইয়া পা নাড়াই ... শুধুমাত্র শুইয়া শুইয়া বিমলানন্দে পা নাড়ানির জন্য আমি বাকিসব কোরবান করলাম ।