Friday, August 14, 2015

জোকার

কিছু ইন্টারভিউ দেখতেছিলাম হিথ লেজারের । ডার্ক নাইটের আগের এবং পরের । আগের সাথে পরেরটার কোন মিল নাই । চেহারায় সেই ডার্কনেসটা রয়া গেছে জোকারের মেকাপ ছাড়াও এবং মনে হইতাছিলা সে এক ঘোরের মধ্যে আছে । মাঝে মাঝে আমার মনে হয় ব্যাটম্যান কমিক্সটার জন্য জোকারের জন্ম হয়নাই বরঞ্চ লেজারের জন্য কমিক্সটায় জোকারের জন্ম হইছিলো ।
এইটা হয় , কোন ক্যারেক্টারের গভীরে ডুব দিলে প্রচুর এক্টরের বাইর হয়া আস্তে অনেক সময় লাগে । এখন পর্যন্ত আমার দেখা সবচে উদ্ভট এক্টর অস্কারে হ্যাট্রিক করা ড্যানিয়েল ডে লুইস ।My Left Foot করার সময় প্রতিবন্ধীর অভিনয় করতে গিয়া সে পুরা শ্যুটিংয়ের সময়টা সে হুইলচেয়ার থেকা নামেনাই , আরো ভয়াবহ ফিল্মে তার ক্যারেক্টারটা একমাত্র বাম পা দিয়া সব কাজ চালায় সে কারণে সে পুরা সময়টা তার তাবৎ খাওয়া দাওয়া এবং অন্যান্য কাজকর্ম সেই বাম পা দিয়া করছে । The Boxer (1997 film) করার সময় ১৮ মাস বক্সিঙয়ের ট্রেনিং নিছে , Gangs of New York করার সময় মাসের পর মাস কসাইর কাছে ট্রেনিং নিছে ।Lincoln এর কাহিনিটা বেশ মজার । স্পিল্বার্গ গেছে ডি-ক্যাপ্রিওর কাছে তারে দিয়া লিংকনের রোল প্লে করাইবো , ক্যাপ্রিও বলছে এইটার জন্য ড্যানিয়েল ডে লুইসেরচে যোগ্য কেউ নাই , তার কাছে যাও । লিংকন যারা দেখছে তারা জানে খোদ লিংকনের চেহারা , কন্ঠ কোন কিছুর সাথে লিংকন আর ড্যানিয়েলের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই । মানুষ বলতে পারবোনা যে আসলেই এইটা ড্যানিয়েল না লিংকন নাকি লিংকনের ভূত ! এই ফিল্মটার প্রস্তাব নিয়া যখন স্পিল্বার্গে ড্যানিয়েল মামুর কাছে গেলো তখন মামু বলছে আপ্নে আমার সাথে বছর খানেক পরে দেখা করেন । কয়েকদিন পরে স্পিল্বার্গে ফের প্রস্তাব দিতে যায়া দেখে মামুর ঘরে শ খানেক লিংকনের উপর লেখা বই , বক্তব্য একটাই , আমি এই একবছর লিংকন গবেষণায় কাটামু । তোমার যদি ইচ্ছা হয় ফিল্ম বানাইতে সাম্নের বছর আসো , চুম্মা । বেচারা স্পিল্বার্গ দাদু অপেক্ষা করলো । প্রায় তিনবছর অন্তর অন্তর অমানুষটা এমন কিছু করে যার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত এখন পর্যন্ত আমি কেউরে দেখিনাই ।
এধরণের ক্যারেক্টারগুলিতে ঢুক্লে সময় লাগ্লেও একটা সময় বের হয়ে আসা যায় । না হইতে পারলেও কিছু যায় আসে না । বড় কোন ক্ষতি মনে হয় হয়না । পুরান এক পোস্টের কিছু কথা কই '' কেউ ডার্ক কমেডিয়ান হউক বা নরম্যাল কমেডিয়ান হউক কনফার্ম থাকেন সে চারপাশের মানুষরে হাসায় কুৎসিত লাইফরে তিরস্কার করার জন্য । আসলে একটা জোকারের জন্ম হয় কোন অমানুষিক যন্ত্রণার ফসল হিসাবে । তারা তাদের যন্ত্রণারে প্রকাশ করে লোকের হাসির শব্দে । মিরাক্কেল বা ইদানিঙ্গের বাংলা নাটকের মত জোর কৈরা কাতুকুতু আজেবাজে কমেডিয়ানদের কথা বলছিনা । সম্ভবত রিয়েল কমেডিয়ানরা পারফেকশনিস্ট হইতে যায়া নিজের সত্ত্বা হারায় ফেলে । হঠাত কইরাই রিয়েলিটি নষ্ট হইয়া যায় । এই কারণে সবি ফানি হইয়া যায় । ''
ডার্কনাইটের শুরুর দিকে জোকার ব্যাটম্যানরে খুন করার প্রস্তাব নিয়া যায় শহরের বড় বড় গুন্ডাপান্ডাদের কাছে । এই সময় সে একটা হাসি দেয় এমন - আহ আহ হাহ হাহ হা ওহ ইস ওহ ইহ হা আহা , আই থট মাই জোক্স ওয়্যার ব্যাড '' , এই অংশটা ঠান্ডা মাথায় শুনলে মনে হবেযে এক অশরিরি ভর করছে কন্ঠের উপর । বিভিন্ন সময়ের অসুস্থ এক্সপ্রেশনগুলিও এর প্রমাণ । বাস্তবে ড্যানিয়েল যেমন লিংকন হয়া গেছিলো লেজার তেমনি অবাস্তব এক কমিক্সে ডুব দিয়া রিয়েল জোকার হয়া বাইর হয়া আইছিলো । রহস্যময় মৃত্যুর ব্যাখ্যা হরেক রকম কিন্তু আমার মনে হয় এই দ্বিতীয় লেজার প্রথম লেজাররে মাইরা ফেলছে কিনা কে জানে । রবিন উইলিয়ামসের কিছু ইন্টারভিউ দেখেন ইউটিউবে , শেষ দিককার , সেইম চেহারা , ফানি চেহারার ভেতর থেইকাও রাগটা ঠিকরে বের হচ্ছিলো ।
Jared Letoরে আমি প্রথম চিনি NFS Hot Persuit. খেলতে যাইয়া । Thirty Seconds to Mars এইখানে একটা গান দিছিলো , ভোকাল লেটো । Mr. Nobody , Requiem for a Dream এ ড্রিমের পর ফাটাইলো অস্কারে Dallas Buyers Club এ ট্রান্সউইমেনের ভয়াবহ রোল দিয়া । Russell Crowe র মত মাল্টিট্যালেন্টেড জিনিয়াস । দুঃখের বিষয় হইলো রিসেন্টলি সে Suicide Squad এ জোকারের রোল প্লে করছে । অথচ জোকার হিসাবে লেজার যা করছে সেইটাই এনাফ , আর কেউ চেস্টা করলেও মানুষ সেই জোকার দেখবোনা যেইটা লেজারের ভিত্রে দেখছিলো । সবচে জরুরি ব্যাপার হচ্ছে এই জোকার ক্যারেক্টারটাই পারমানেন্টলি টার্মিনেট কইরা দেওয়া উচিৎ । এইটা করলে মনে হয়না কেউ সুস্থ থাকতে পারবো ।
লেজারের আগের জোকার Jack Nicholson লন্ডনের এক রেস্টুরেন্ট থেইকা বাইর হওয়ার সময় এক রিপোর্টার তারে প্রশ্ন করে লেজারের মৃত্যু সম্পর্কে তার মতামত কি ? সে বলছিলো ''Well… I warned him, he never listened ''
সেই রাতটা ছিলো লেজারের মৃত্যুর রাত এবং নিকলসন এইটা বলতেছিলো হাসতে হাসতে ।

Saturday, July 4, 2015

মিডিয়া

পশ্চিমা জনগণ বেজ্ঞানে বিশ্বাসী । সেইখানের চটি পত্রিকার খবরে রেগুলার থাকে মঙ্গলে বাসস্থান ফাঁদার গালগপ্প , বেরস্পতির কুন চাঁদের চিপায় পানি পাওয়া গেছে , কোন এস্টরয়েডে ধাক্কা খাইয়া তাদের কইলজার টুকরা পৃথিবী প্রায় প্রতিদিন-ই দুই টুকরা হইয়া যাইতেছে এই সমস্ত ফাঁপর । মাঝে মায়ান সভ্যতার ধর্মের রেফারেন্স আইনা ২০১২ সালের পৃথিবী ধ্বংস হওয়ারেও জায়েজ করছে । যথারীতি পৃথিবী তাদের বৈজ্ঞানিক ওয়াজ-নসিহত অনুযায়ী বহুবার ধ্বংস হইছে । মাইনষেও এভেঞ্জারস আর স্টার ওয়ার্স দেইখা একদম পুরা লাইনে ।
েশের জনগণ ধর্মে বিশ্বাসী । এইখানের চটিপত্রিকার খবরে রেগুলার থাকে গাছের পাতায় মাছের গায়ে বিভিন্ন আরবি বাক্য ; চান্দে দেখা যায় বিচিত্র সুফি কেব্লাবাবার ছবি ; ভূমিকম্পের সময় এরা পুরা কেয়ামত নামায়ে ফালায় । আবার রেফারেন্স হিসাবে কেয়ামতযে প্রায় হয়া যাইতাছে সেইটার প্রমাণ হিসাবে রীতিমত এমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে ইউজ করে । গতকালতো একজন আমারে নিশ্চয়তা দিছে যে ২০১৬ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবেই । মানুষ ধর্মের লগে বেজ্ঞানের প্রেম পায়া পুরা লাইনে ।
এই যুগে সবচে নোংরা বিকট দানব হইয়া উঠছে মিডিয়া । অবশ্য তাদের দোষ দিয়া আর কি লাভ ? দোষতো উপরের যেই দুই স্তরের উদাহরণ দিলাম তাদের ; একদল ধর্মান্ধ , আর আরেকদল বিজ্ঞানান্ধ !
সবাই পৃথিবী ধ্বংস লয়া মাতছে । কেয়ামতের আলাপ চলে , ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে গ্যালাক্সি কলিশন দেখায় ।
আমি দেহি নীতি জিনিসটা বহুত আগেই ধ্বংস হইয়া গেছে , পৃথিবী ধ্বংসের আনুষ্ঠানিকতাতো পরের ব্যাপার । মানুষতো দূরে থাক ভূতেরাও এতটা অসুস্থ বিকৃত নৃশংস না ।

ইংরাজি

বাংগালি শিক্ষিতরা গিয়ানজাম লাগ্লে এক পর্যায়ে বাংলা থুইয়া খাঁটি ব্রিটিশ এক্সেন্টে ঝগড়া শুরু করে । এইটা হইছে তর্কে না পাইরা ইংরাজি বইলা ভয় দেখানির ধান্ধা । সামনা-সামনি উদাহরণ না পাইলে টকশোগুলি দেখতে পারেন ; ফেসবুকের ঝগড়াগুলাও দেখতে পারেন । জ্ঞানের আলোযে বাংলারচে ইংরাজিতে উজ্জ্বল প্রমাণ হইয়া যাইবে ।
শিক্ষার দৌড়টা যখন আম্রা ইংরাজি ভাষা দিয়া প্রকাশ করি তখন বুঝতে হবে ব্রিটিশরা আমাগো দেশ শুধু লুট করেনাই ; চেতনা শুদ্ধা লুট করছে । ভাষাতো নিছক ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম । একাধিক ভাষা জানা বা চর্চা করা ভালো বেশ ভালো ; ফেসবুকে স্টেটাস দেন বাস্তবে বইলা প্র্যাক্টিস করেন ; এই নিয়া আমি সমস্যা দেখিনা । যেহেতু ইংরাজি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়া গেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলাফেরা করতে হইলে এইটা লাগেই । কিন্তু এইটারে ব্যাপক জ্ঞান মনে করা ; যত্রতত্র প্রয়োগ কৈরা চামে বুঝায়ে দেওয়া ''আমি কি হনুরে!'' অথবা কোন চায়ের দোকানের চাকরির ইন্সটারভিউতে ''তুমি ইংরাজি জাননা , অতএব তুমি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক না , তর চাকরি সেস,যা ভাগ'' দুঃখজনক । দিনশেষে এইটা নিছক ভাষা ; আপনার চিন্তা প্রকাশের মাধ্যম কিন্তু চিন্তা না । যেমন ধরা যাক নিউটনের সূত্র । এইটা যেই ভাষাতেই হউক না কেনো ভাষা মুখ্য না ; নিউটন হালায় কি কইছে সেইটাই মুখ্য । কোন ভাষায় কইছে এইটার বেইল নাই । সে যদি সূত্র না কপচায়া ইংরাজিতে ''লুতুপুতুরে , তরে না পাইলে গলাত দড়ি দিয়াম '' লেখতো কেউ বেইল দিতোনা । বেইলটা তার সূত্রের ; ভাষার না ।
প্রশ্ন আসতে পারে - ''হালারপো , তোমার ওয়ালের যত্রতত্র আংরাজি শোভা পায় ।'' উত্তর হচ্ছে ; না সেগুলা আমি লেখিনাই ; হয়তো কোন বই বা ফিল্ম থেকে নেয়া । বাংলা আপনে যতই ইঙ্গরাজিতে অনুবাদ করেন বা ইংরাজি আপনে যতই বাংলাতে অনুবাদ করেন এতে ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট হয় ; এজন্য অনুবাদ করিনা । মানুষ ভাষা শিক্ষাই পারেনা ; আর অনুবাদ কুন ছাড় ।
ইংরাজিতে পণ্ডিতি কপচানির চেষ্টা ক্লোজ ছোটভাই মাইকেলেও করছিলো ; পরে দেহে ভিত্রেরতে আহেনা । দুঃখে কপোতাক্ষা নদ লেইখা পুরা মধুসূদন হয়া গেলো ।
আপনি সারাদিন ট্রাই করেন ; শিক্ষার নমুনা ইংলিশে যত্রতত্র দেন । কিন্তু আপনার সৃষ্টিশীলতা ইংরাজিত বাইর হইবেনা , আনন্দটা ইঙ্গরাজিতে পূর্ণ হইবেনা । যেমন আমি গালিবাজ মানুষ । একটা মশা মাইরা ''মানকির পুলা'' বইলা যেই ফিলিংস পাই ; ''সন অফ আ বিচ'' কয়া সেইটা পাইনা ; মনে হয় কি জানি বাল বাকি রইয়া গেছে । জন্মের সময় মানুষ নিছক শরীর নিয়া জন্মায়না ; চেতনা নিয়াও জন্মায় । তাতে থাকে হাজার বছরের জাতিগত বৈশিষ্ট্য , ভাষা । কাজেই ইংরাজি মুল্যবান না ; মূল্যবান সেই ভাষা যেইটায় আপনে নিজের চিন্তা/সৃষ্টিশীলতা পূর্ণরুপে প্রকাশ করতে পারেন । সেইটা যার যার অঞ্চলভেদে ভিন্নভিন্ন ।

স্পার্ম

ইয়ে ফ্রান্সের কুন একদল গাঁজাখোর বিজ্ঞানি ল্যাবে মাইনষের স্পার্ম তৈরি করছে ; অতএব ভবিষ্যতের পৃথিবী যে পুরাপুরি পুরুষমুক্ত নারীবাদী হবে , বিজ্ঞানের যে কি পরিমাণ উন্নতি হইয়া গেছেরে মমিন ; এই খুশিতে কিছু নধর নারীবাদী বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তমনু এই খবর যাচাই না কৈরাই বউরে খুশ করতে শেয়ার দিছে ।
স্পার্ম লাগ্লে রাম , শ্যাম , যদু , মধু ,টম , ডিক এন্ড হেরিরে কইলেইতো হয় ; ল্যাবে বিলিয়ন ডলার খরচা কৈরা দুষ্টামি করা লাগে ? তো বিজ্ঞানের ফাজলামির এইটাই নমুনা নহে , কোন চ্যাডের বালের লগে ধাক্কা খাইয়া যেকোন মুহূর্তে ধরণী ধ্বংস হইতে পারে এইজন্য নাসার আবালগুলা বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার খরচা কৈরা নানান গ্রহে কিসব বালছাল পাঠাইতাছে । আমাগর মুক্তমনুরা চিল্লায়া কয় , মানুষ মঙ্গলে যাইতেছে আর আপ্নেরা এখনো মধ্যযুগীয় অন্ধকারে আছেন ?
এইদিকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারে নাই আমাগোর দুবাই-আরবের ধার্মিকেরাও । তাদের তেলের বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন দেরহাম দিয়া স্বর্ণের গাড়ি বানায় ; এমেরিকানরা পালে কুত্তা আর এরা কুত্তা হিসাবে পালে চিতাবাঘ , কুত্তা হিসাবে মানুষ পালেনা কারণ মাইনষের দাম কুত্তারচে কম ; হলিউডের সেরা জিনিস প্রাইভেট জেটে আইনা লাগায় ।
ঠিক একি সময়ে থাইল্যান্ডের সাগরে সীমিত খাবারের দখল নিয়া নিজেরা মারামারি করতেছে ; পানি না পায়া নিজের মুত্র খায়া মরতেছে ৮০০০ মানুষ ।

লেখালেখি

অনেকের কাছেই শুনি লেখালেখি দিয়া পরিবর্তন সম্ভব না । লেখালেখি যারা করে তারা কাপুরুষ । পরিবর্তন করতে হইলে রাস্তায় নামতে হবে ।
হয়তো । কিন্তু রাস্তায় নাইমা কি করতে হবে , রেস্লিং ? ভায়োলেন্স ? তাইলে ছোটবেলায় বা বড়বেলায় পড়ালেখা করার দরকার নাই পড়ালেখার বইতো কেউনা কেউ রাস্তায় ভায়োলেন্স না কৈরা কাপুরুষের মত ঘরে বইসা লেইখা থুইয়া গেছে । সবাই কেজি দরে বই পড়েন আর বই পড়তে পড়তে চোখ অন্ধ কৈরা ফেলানোর ফলাফল হইছে এই যে ভায়লেন্সের পথ বাইছা নেন । আপনার চিন্তাভাবনা গুটিবাজি সব কিন্তু হাজারো বই থেইকা নেওয়া শিক্ষার একটা সম্মিলিত প্রতিফলন । আপনার চাকরি , ব্যবসা বা হাত পা ছুইড়া বক্ত্রিতা ।
একটা দেশ চালাইতে হইলে কেবল লেখক না পায়ের তলার জুতার মুচির থেইকা থেইকা শুরু কৈরা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণীর লোকের সম্মিলিত প্রয়াস লাগে । সমস্যা হইছে যে লেখে সে পাব্লিকের কাছে বিশেষত ছাত্রদের কাছে দ্রুত পৌঁছায় । ধরেন জাফর ইকবাল/হুমায়ুন স্যাররে পাব্লিকে খায় । কেনো খায় ? তারা এমেরিকার কোথায় পিএইচডি করছে , বা ঢাবি শাহজালালের কোথায় পড়ায় এইসব দিয়া সে মাইনষের কাছে পৌঁছাইতে পারেনাই । সবাইর কাছে তাদের মূলপরিচয় তারা লেখে , সবাইর ঘরেই তাদের দুই চাইরটা বই আছে । একটা সিম্পল উদাহরণ দিলাম । যারা প্রচুর পড়ে তার মানে এইনা যে তাদের সবারি বিশ্লেষণ ক্ষমতা জন্মায় । যে ভোদাই হাজার পড়লেও ভোঁদাই-ই থাইকা যায় । কিন্তু এদের মধ্যেই একটা শ্রেণী দাঁড়ায় যারা একি সাথে পড়ে এবং চিন্তার প্রসার ঘটায় , চিন্তাতেও সমান সময় দেয় । এই শ্রেণীটাই পত্রিকায় ব্লগে ফেসবুকে বইয়ে লেইখা মাইনষের চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে বা কোন মুভমেন্টের প্রাথমিক প্রস্তুতি লয় । কোন কিছুর মানুষ কতটুকু ইফোর্ট দিবো এইটা নির্ভর করে সে কতটুকু বুঝছে তার উপর । সমস্যা হইছে যে দেশে হুমায়ুন জাফরের মত গুণী লেখক আজকাল আর বাইরায়না আজকাল সস্তা মার্কেটিং বাজেভাবে ব্যাপক হইছে । প্রথম আলো সাইয়্যেদ জামিল পুরস্কার চলতেছে । রামছাগলরে ধইরা আইনা বুদ্ধিজীবী হিসাবে টকশোগুলা চলতাছে ।
৭১ এ কেবল রাস্তায় নামা যোদ্ধারাই তো লড়েনাই । যেই বেটায় ''মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি '' গাইছে যেই ব্যাটায় রাস্তায় না নাইমা কাপুরুষের মত ঘরে বইসা বোমা বানায়া দিছে তারাও লড়ছে , যেই ব্যাটায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই মুভমেন্ট নিয়া লেইখা চিল্লায়া সমর্থন সাহায্য যোগাইছে তারাও লড়ছে , যারা রেডিওতে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষরে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করছে তারাও লড়ছে ; যেই ডাক্তার যোদ্ধার চিকিৎসা করছে সেও লড়ছে । আর কত যে কলিমদ্দি দফাদার আছে যাদের কেউ চিনেনাই তারও হিসাব না ; এই যুগেও আছে । সবাইতো আর আন্দোলনের ভিত্রে সেলফি তুইলা আর পেইড দালালি কৈরা পেট চালায়না । আরও যদি ভালোভাবে বুঝতে চান সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারটা যে রাস্তায় না নামা কাপুরুষ জার্মান এবং ব্রিটিশ ম্যাথমেটিশিয়ানরা অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করছে এইটা দেখতে (the imitation game 2014) পারেন ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখালেখিতে সবচেয়ে বেশি রেফারেন্স নেওয়া হয় হাসান হাফিজুর রহমানের ''বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ১৫ খন্ড'' থেকে । যে বা যারা এগুলা সংগ্রহ করছে যা কিনা বাংলাদেশের পরবর্তী যাবতীয় আন্দোলনগুলা অনেকটাই এইসব রেফারেন্স ধইরা আগাইবো তারা কাপুরুষ তারা রাস্তায় নামেনাই । আবার এই কাঠখোট্টা ১৫ খন্ডের দলিল আপনে কখনোই পড়বেননা , কারণ মানুষের এই জাতীয় অকাট্য দলিল পড়ার জন্য একটা শক্তি লাগে । এই শক্তিটাও আসে হুমায়ুন আহমেদের ''জোছনা ও জননীর গল্প '' টাইপের কিছু বই দিয়া যেইখানে গল্পে গল্পে মুক্তিযুদ্ধরে পোলাপানের কাছে পৌঁছায় দেওয়া হয় । কাজেই দেখা যাচ্ছে একটা ব্যাপক চক্র চালাইতে হইলে অনেকটা বাস্তুসংস্থানের মত সব শ্রেণীর সব পেশার লোকই লাগে । মূল কাজটা হইছে যে যেইটাতে এক্সপার্ট , যতটুকু এক্সপার্ট , যত খুদ্র পরিসরে হোক সে যত ক্ষুদ্রই হোক তার ভেতর যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক ন্যূনতম প্রতিবাদটা চালায়ে যাওয়া । এগুলা দেখতে অনেক ক্ষুদ্র মনে হয় । সবাই মিল্যা ১ টাকা চান্দা দিলেও সাড়ে ষোল কোটি হয় । এই এক টাকা হচ্ছে শুরু , এইটা বাড়তে থাকবে ।
খুব রিসেন্ট একটা উদাহরণ দেই । গারো তরুণী রেপ এবং অপরাধি গ্রেফতার । হঠাত কৈরা দেশে রেপ বাইড়া গেলো , এমনকই যারা নারীবাদী না তারাও ক্ষেপলো । সমাজতো এখন আর কনজারভেটিভ না; জ্ঞানিগুনিরা বিবাহপ্রথার প্রতিবাদ করতেছেন ; তস্লিমা নাসরিন বিবাহের বীরোধিতা করতেছেন নিজেই ৪ বিয়া কৈরা , স্বচ্ছ নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিকমানের এক্টিভিজম হওয়ায় গুনিরা সমর্থন দিচ্ছেন । যে যেইখানে যেম্নে পারে একটু চেষ্টা করলেই এইসব ফালতু জিনিস এড়ান যায় ; আপোষেই লিটনের ফ্ল্যাটে লওয়া যায় । তুই হুদাই গেঞ্জাম করবি ক্যা ? এর মানে এই না যে এইটাই প্রথম হইছে । পার্বত্য এলাকায় প্রতি মাসে হইতাছে , চাঁদপুরের মতলবে নাকি নিয়মিত হয় এভাবেই এভারেজ গতিতে চলতেছিলো অঞ্চলভেদে । ফাঁকে দিয়া ধুমধাম লাগাতার কিছু শুরু করলো । শুরুটা হইছে পহেলা বৈশাখ দিয়া শেষটা চলতি আছে গারো তরুণী । এখন অনলাইনে সবাই চিল্লাইলো অফ্লাইনে কেউ কেউ রাস্তায় গেলো । মানুষ বিরক্তির চরম সীমায় গেলো । স্কুলের বাচ্চা , রেইপ কৈরা মাইরা ফালানো এগুলা সমাজের চরম অসুস্থতার লক্ষণ । বিষয়টা কারর ভাল্লাগলোনা । ক্ষোভ বাড়তে শুরু করলো । দেখেন ৭১ এ বহুত অন্যায় হইছে । কিন্তু মানুষজন্ সবচে বেশি ক্ষেপছে রেইপে । এমন বেশ কিছু নোংরা অন্যায় আছে যা খোদ চোর ডাকাতরাও সহ্য করেনা সহ্য করেনা , যখন নিজের আত্মিয়স্বজনের সাথেও এমন হইতে পারে ভাবে তখন রাস্তায় নামে । ফলাফল পুলিশ তুড়ি বাজায়ে গারো তরুণী কেইসে রেপিস্টগোরে ধইরা ফালাইছে । এর মানে খুবি সিম্পল । তারা চাইলে বাকি রেপের কুত্তাগুলারেও ধরতে পারে । ধরেনা কারণ পাব্লিক বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছায়না । অর্থাৎ রাষ্ট্রের ক্ষমতা নাই পাব্লিক ক্ষেপলে ।
মানুষ রাস্তায় নামবে । যারা সবসময় রাস্তায় নামে তারাতো ধান্ধাল । মানুষ রাস্তায় তখন নামে যখন দরকারে নামে , দেরী হইলেও পিঠ ঠেকলেই নামে । আবার অন্যায়ের প্রতিবাদ শেষে সমস্যা সমাধান হইলে নিজের পেশায় ফিরায় যায় । যারা সারাদিন রাস্তায় থাকে এরমানে তাদের ধান্ধাটা রাস্তাতেই হয় । মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপক অংশ এই রাস্তায় নামা মানুষ না । রাস্তায় নামা মানুষের সংখ্যা ৩০ লক্ষ না ।
যাই হোক এই অনলাইন এখন প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম । আপনে লাইক কমেন্ট সেলিব্রেটিজমরে ফেইম সাকার কয়া যতই গাইল পাড়েন এর বাইরেও একটা অংশ আছে যারা পাব্লিকের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে , এইসব অহেতুক একটা হুদাই বিপরীত স্রোতের ধান্ধালের কথার বেইল দেয়না । চাক্কু দিয়া মানুষ মারে তার মানে এই না যে আপনে ফল কাঁটা বন্ধ কৈরা দিবেন আর যে ফল কাটছে তারে মানুষ মারার অপবাদ দিয়া চেচাইবেন । মানুষ অনলাইনকেন্দ্রিক হয়া যাইতাছে , আবেগি বাস্তবতা আজ ভুলুন্ঠিত এই টাইপের মেকি কাইন্দাতো লাভ নাই ; মানুষ সময়ের প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় জিনিসটাতেই হাত লাগাইতেছে । চিল্লাইতে থাকেন অনলাইনে অফ্লাইনে সবখানে । ১০০ টা বিচার হয়তো পাইবেন না , ১ টা পাইবেন । ২-৪ টা ভালো বিচার হইলে এম্নেই অপরাধ অনেকাংশেই কইমা যায় । চিল্লাইতে থাকেন । যেইখানে যেম্নে পারেন , কোটি টাকার মাল হওয়া লাগবেনা , ১ টাকার মাল হইলেও চিল্লাইতে থাকেন । পড়তে থাকেন , শিখতে থাকেন বুঝতে থাকেন । এভাবেই হয় । আপ্নের এই পড়াশুনা একসময় হিপনোটাইজ কৈরা রাস্তায় নামায়ে আনবে । কারণ জনতা ক্ষেপলে নেতাগো প্রটেকশনে রাস্তায় নামেনা , নামে বিবেকে ।

টাচস্ক্রিন

টাচস্ক্রিন জিনিসটা আসলেই ভ্যাজাইলা । এইকারনেই কি-বোর্ড প্রিফার করি । ফেসবুকের এক নতুন হুজ্জত হইছে সাজেস্টেড পোস্ট , মানে কোন পেইজে লাইক দেওয়া না থাকলেও ফিডে শো করে । কহন যে কুনখানে কুন বলদনি
 
উজ24.com
 
 এ শেয়ার দেওয়া কুলটা সানি লায়নের ছবিতে লাইক পইড়া গরীবের ইজ্জতটা হালুয়া হয়া যায় আল্লামাবুদ জানে । গত দুইবছর যাবত হালারা ''বাংগালি পুরুষ হরমোন চেঞ্জ করিয়া কানাডায় যায়া মুক্তমনা সুন্দরি হইয়া গেছে , এখন সে বিশ্বসুন্দ্রি প্রতিযোগিতায় , জয় মুক্তমনের জয় ।'' এই একি নিউজ চালায়া যাইতাছে ,বদ্ধ উন্মাদ পাবলিকেও একি গতিতে সাইটে যায়া হিট দিয়া আইতাছে ; একি খবর পড়তে পড়তে হেফজ কৈরা লাইছে তবু খাইতাছে । এগুলাতে টাচ পড়লে ইজ্জত হালুয়া । এই টাচের কারণে বহুদিন পরে ভুল বসত রেডিওতে ক্লিক দিয়া লাইছিলাম । রেডিমুন্নি , রেডিওচুন্নি , রেডিসদেশ , রেডিওবিদেশ , রেডিওবিলাই , রেডিওকুত্তা কিছু এক্টাতে । কানে বাকোয়াজ বাজতেই হতাশ হয়া ভাব্লাম এহনো মাইনষে RJ গিরি কৈরা ভাব হান্দায়, এহনো প্রতিটা বস্তির (টেকাটুকায় বস্তি না , চিন্তাভাবনায় ; আবার চেইত্তা চৌধুরী সাহেব টেকা দিয়া প্রেম কিনা যায়না টাইপের হলি ডায়লগ দিয়েননা ) পোলাপানের ফেকবুক আইডির নাম RJ ; এহনো খাটের চিপায় , আলুর বস্তায় , গাছের আগায় , লুঙ্গির তলায় ভূত আছে ;এই যুগ এহনো যায়নাই ; এমনকি ভূত এফেমের তারা নিজেরাও মনে হয় সন্দেহে আছে তারা মানুষ না মুত ; স্যরি ভূত ! একটা রিকশাওলা ভাইয়ের কাছেও ৬৪ জিবির মেমোরিসহ স্মার্টফোন আছে , এই ব্যাটাও এটলিস্ট ইস্মার্ট আছে । পয়সা গচ্চা দিয়া ''হ্যালো লুতপুত ভাইয়া ! অমুক লুতুপুতু গানটা সোনা-ন না ? জমিদারি বেইচা কয়েক হাজার মেসেজ দিলাম , আর কতো তেল দিবো ? আপনি খুবি দুষ্টু লুতুপুতু । ছিঃ! যাহ ! দুস্টু কুথাকার ! কি পেলে তুই আমার টাকলা মেসেজ পড়বি বল? '' এইসব বইলা সেও পিনিক লয়না ; কৈ থেইকা যে এই উদ্ভট জীবগুলার আবির্ভাব হয় । গানতো ফোনেই আছে , বার্থডে উইশতো এক মসেজেই করা যায় দুনিয়ার মিডিয়া ঘুরায়ে জানান দেওন লাগেনা । কেউরে পছন্দ করলে যে নিজে তার মানুষের কাছে ব্যখ্যা না কৈরা রেডিওর বলদা আরজে ভাইয়ারে দিয়া বলাইলে যে বেশি রোম্যান্স পাওয়া যায় এই নির্বোধ ফালতু যুক্তি একমাত্র রেডিওতেই দেখছি । হুদ্দা আজগুবিডুবি ভগরভগর ; স্টার প্লাসের মত এগুলাও নিষিদ্ধ করতে আন্দোলন করা উচিৎ ; ভাষার পার্থক্য বাদে এগুলার লজিকে আর কোন পার্থক্য নাই । নির্বোধ মানুষগুলারে চামে পায়া ফকিরা প্রোগ্রাম খাওয়ায়া পেট চলায় । বিনোদন অনর্থক হইলেও একটা লেভেল থাকলে বিনোদন আর অর্থবহ কিন্তু বেক্কইলা প্রেজেন্টেশন , লুতুপুতু নিম্নশ্রেণীর টপিকগুলা হইছে বিনোচোদন । স্টুপিডের দল ।

স্টুপিডের মায়রে বলদনি
 
উজ24.com
 

স্টুপিডের মায়রে ভূত 420.327364234...infinity FM

এ+

পরিক্ষা এবং রেজাল্ট নিয়া অনেকেই বাচ্চাদের কটাক্ষ কৈরা লেখতেছেন , তাদের এ+ গোল্ডেন নিয়া হাসাহাসি করতেছেন । চালায়ে যান ।
যখন এই পরিক্ষা গেছে একদল চুতিয়া উন্মাদ প্রশ্ন ফাঁস করছে আর আরেকদল চ্যুতিয়া উন্মাদ প্রশ্নফাঁসের বিপক্ষে না লইড়া মানুষ পুড়াইয়া উল্লাস কৈরা হরতাল করছে । পোলাপানের লাইফের ১০ টা বছর শেষ করছে । এগুলারে লাইফটা যেইভাবে দেখাইছে গুরুরা তারা সেইভাবেই লাইফটা দেখছে ; ৭০ টা সাব্জেক্টের উদ্ভট সৃজনশিলতার চাপে , অমুকের পুত্র তমুকের নাম্বার এত আর তুমি ? এই জাতীয় ঠাডায় পইড়া লাইফটারে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ-ই পায়নাই । এগুলার দোষ দিয়া কি লাভ ? অসুস্থ সমাজ অসুস্থ সিস্টেম শিখাইছে সফলতার সর্বপ্রথম শর্ত নীতিরে কবর দিতে হবে ; আম্রা যেইদিকে সফলতা দেখাই সেদিক ছাড়া অন্যদিকে গেলে জীবন ব্যর্থ । আর সৃজনশীলতা মামাবাড়ির আবদার না , মুড়ির মোয়া না যে সবাইর ভিত্রে থেইকা সব সাব্জেক্টেই বাইরায় । মানুষের এই ক্ষমতা আছে কিন্তু সবাই সেইটা ব্যবহার করতে পারেনা । নাইলে গত কয়েকবছরে দেশ থেইকা কয়েক লাখ আইনস্টাইন বাইর হইতো । একটা নির্দিষ্ট সাব্জেক্ট যেইটাতে স্টুডেন্ট এক্সপার্ট শুধু সেই বিষয়ে ট্রাই লইয়া দেখতে পার্তো ।
একটা দেশের মায়রে বাপ করতে হইলে জাস্ট শিক্ষাটা ধ্বংস করলেই যথেষ্ট । সেইটা মাদ্রাসা হউক আর আপনাগো হালের বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা ।
এইটা খুবি ভালো পদ্ধতি । কারণ অফিস আদালতে অনেকেই দুর্নীতি করতে ভাইলেও কিছু কিছু নীতিচোদ ফ্যাকড়া বাধায় । একদম গোঁড়া থেইকা স্তরে স্তরে চোর-চামুণ্ডা বানাইলে চুরিটা স্বচ্ছ নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিকমানের হয় ।আজকের ছিঁচকা চোর আগামীর নেতা ।
ফাইনাল পরিক্ষাগুলি অনেকটা পোলাপানের জন্য ফাঁসির আসামির মত , সত্যি বললে স্বর্গ , মিথ্যা বললে দুনিয়া । পোলাপান এত তাড়াতাড়ি স্বর্গে যাইতে চায়না , কাজেই তাদের ভেতরের যে দুর্বল নীতি আছে সেইটা টুটকা ফাটকা পরিক্ষা দিয়া ভাঙ্গা যাবেনা । এরকম ফাইনাল পরিক্ষা ধরতে হবে , যাতে পোলাপান জান বাঁচাইতে নীতি বিসর্জন দেয় । অবশেষে এভাবেই তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলা হয় চেতনাহিন রোবটের মত যাতে আরামসে কন্ট্রোল করা যায় ।